সৌদি আরব

সৌদি আরব

 মুসলিম বিশ্ব

পৃথিবীর ইতিহাসে মুসলমানদের আধিপত্য এবং ইসলামের গৌরবোজ্জল ইতিহাস বিশেষভাবে পরিলক্ষিত। প্রথিবীর মোট মজুদ সম্পদের অধিকাংশই মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে বিদ্যমান।পৃথিবীর মোট ১৯৪টি স্বাধীন দেশের মধ্যে ৫৪টি মুসলিম প্রধান দেশ রয়েছে।তাছাড়া বিশ্বের মোট ৭বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা ১.৪ বিলিয়ন। বিশ্বে উৎপাদিত মোট সম্পদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ[২/৩] খনিজ তেল, ৭০% রাবার,৭৫% পাট, ৬৭% মসলা,দুই তৃতীয়াংশ পামওয়েল, ৫০% ফসট্রেট, ৪০% টিন মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে উৎপাদিত হয়। এছাড়াও তুলা,চা,কফি,ইউরেনিয়াম সহ পৃথিবীর অধিকংশ সম্পদের একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে।

মধ্যপ্রাচ্য

এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলকে মধ্যপ্রাচ্য বলা হয়।প‍ৃথিবীর ইতিহাসে মধ্যপ্রাচ্য আদিকাল থেকেই প্রসিদ্ধ এবং আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।ইসলামের পাশাপাশি ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচার এবং প্রসার হয় এ অঞ্চলেই।মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ ‍অপরিশোধিত মজুদ খনিজ তেল।মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত।ইরাক,ইরান,ইসরাইল,ফিলিস্তিন, কুয়েত, ইয়েমেন সহ প্রায় ১৮/৩৮ টি দেশের মধ্যে সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রধান আলোচিত, পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ দেশ।

সৌদি আরব

মুসলিম বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র সৌদি আরব আয়তনের দিক থেকে পশ্চিম এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র।আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ স্থান জুড়ে অবস্থিত এ দেশটিতে কোন নদী নেই।আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ দেশটিতে মজুদ রয়েছে বিশ্বের মোট মজুদ খনিজ তেলের এক তৃতীয়াংশ [1/3]. বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেট্রোল রপ্তানীকারক দেশ সৌদি আরব বিনিয়োগের দিকথেকে বিশ্বের সপ্তম [৭ম] প্রধান দেশ।তবে মানবিক সাহায্যে সৌদি আরব বিশ্বে প্রথম।বিশ্ব ব্যক্তিত্বের দিক থেকে সৌদি বাদশাহ বিশ্বে চতুর্থ এবং মুসলিম নেতাদের মধ্যে প্রথম।

সৌদি রাষ্ট্রের ইতিহাস

মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান আলোচিত এবং পবিত্র রাষ্ট্র সৌদি আরব এক দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং বর্তমান সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে সতন্ত্র ইতিহাস। সূচন‍ালঘ্ন থেকে আজ পর্যন্ত সৌদি রাষ্ট্র মোট তিনবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথম সৌদি রাষ্ট্র [১১৫৭-১২১৩হিঃ/১৭৪৪-১৮১৮খ্রিঃ]   

ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সাউদ  ১১৫৭হিঃ মোতাবেক ১৭৪৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।প্রথম সৌদি রাষ্ট্রের শাষকেরা ছিলেনঃ

 1.ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সাউদ [১৭৪৪-১৭৬৫খ্রিঃ]

 2.ইমাম আব্দুল আজিজ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সাউদ [১৭৬৫-১৮০৩খ্রিঃ]

 3.ইমাম সাউদ ইবনে আব্দুল আজিজ ইবনে মুহাম্মদ বিন সাউদ [১৮০৩-১৪খ্রিঃ]

 4.মুহাম্মদ বিন সাউদ [১৮১৪-১৮১৮খ্রিঃ] 


দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্র[1240-1233হিঃ/1824-1891খ্রিঃ]

ইমাম তুর্কী বিন আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন সাউদ 1240হিঃ/1824খ্রিষ্টাব্দে রিয়াদকে রাজধানী করে ২য় সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। ২য় সৌদি রাষ্ট্রের শাষকগণ ছিলেনঃ

1. ইমাম তুর্কী বিন আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন সাউদ। [1824-1834খ্রিঃ]

2. ইমাম ফয়সাল বিন তুর্কী।[1834-1838খ্রিঃ এবং 1843-1865খ্রিঃ]

3. আব্দুল্লাহ বিন ফয়সাল বিন তুর্কী।[1865-1871 খ্রিঃ এবং 1876-1887খ্রিঃ]

4. ইমাম সাউদ বিন ফয়সাল।[1871-1875খ্রিঃ]

5. আব্দুর রহমান বিন ফয়সাল।[1875-1876খ্রিঃ এবং 1889-1891খ্রিঃ]

তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্র[1345হিঃ-বর্তমান/1926খ্রিঃ-বর্তমান]

৫ই শাওয়াল ১৩১৯ হিঃ/১৫ জানুয়ারী ১৯০২খ্রিঃ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান বিন ফয়সাল আল সাউদ স্বপরিবারে ৪০ জন অনুসারী সহ রিয়াদে প্রত্যাবর্তন করেন।এই প্রত্যাবর্তন সৌদি রাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কেননা,এরই ধারাবাহিকতায় ৮/১০ জানুয়ারী ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান রিয়াদ কে রাজধানী করে তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৭ সালে সৌদি প্রথম বারের মত স্বীকৃতি লাভ করে।এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার, সৌর সনের প্রথম দিন তিনি সৌদির সবগুলো রাজ্য একত্রিত করেন। তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্রের শাষকগণঃ

1. ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান বিন ফয়সাল আল সাউদ।[1926-1953খ্রিঃ]

2. ইমাম সাউদ বিন আব্দুল আজিজ।[1953-1964খ্রিঃ]

3. ইমাম ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ।[1964-1975খ্রিঃ]

4. ইমাম খালেদ ইবনে আব্দুল আজিজ।[1975-1982খ্রিঃ]

5. ইমাম ফাহাদ ইবনে আব্দুল আজিজ।[1982-2005খ্রিঃ]

6. ইমাম আব্দুল্লাহ বির আব্দুল আজিজ।[2005খ্রিঃ - বর্তমান]

** সৌদি আরবের বর্তমান যুবরাজঃ- সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

সরকারি নাম


আরবিতেঃ-  المملكة العربية السعودية  [আল মামলাকাতুল আরবিয়্যাতুস সউদিয়া]

বাংলায়ঃরাজকীয় সৌদি আরব

ইংরেজিতেঃ- Kingdom of Saudi Arabia (KSA)

স্বীকৃতি লাভ : ২০মে ১৯২৭ খ্রিঃ।


একত্রীকরণ ও স্বাধীনতা : 


ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান বিন ফয়সাল আল সাউদ ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার, সৌর হিজরী সনের প্রথম দিন তিনি সৌদির সবগুলো গোত্র ও প্রদেশ একত্রিত করেন।সে জন্য প্রতি বছর ২৩শে সেপ্টেম্বরই সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। 

রাজধানী :

সৌদি আরবের রাজধানীর রিয়াদ। এ ছাড়াও সৌদি আরবে ১৩টি প্রাদেশিক প্রশাসনিক রাজধানী আছে।

সরকারপদ্ধতি : 

রাজত‍ান্ত্রিক, বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান খাদিমুল হারামাইন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল 

‍আজিজ আল-সাউদ এবং যুবরাজ সালমান বিন আবদুল আযীয আল-সাউদ।

আয়তন : প্রায় ২২,৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ৮,২৯,৯৯৬ বর্গমাইল

ভৌগোলিক সীমারেখা : 

সৌদি আরবের উত্তরে- জর্ডান ও ইরাক, দক্ষিণে ওমান ও ইয়ামন, পূর্বে কুয়েত, কাতার

বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আরব সাগর, পশ্চিমে লোহিত সাগর।

ধর্ম : 

সৌদি আরবের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সৌদি পরিচয় বহনকারী সবাই মুসলমান। তাদের 

অধিকাংশই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী। তবে আল-কাতিফ, আল 

আহসানাজরানে কিছু শিয়াদের বসবাস রয়েছে। সেখানে অবস্থানরত অমুসলিম 

জনগণও তাদের মানবিক ও ধর্মীয় অধিকার পুরোপুরিভাবে ভোগ করছে।


ভাষা : 

রাষ্ট্র ভাষ‍া আরবি, তবে আরবির পাশাপাশি বর্তমানে ব্যাপক হারে ইংরেজির ব্যবহার লক্ষণীয়।


জনসংখ্যা : 

,৮৬,৮৬,৬৩৩ জন (২০১০ সাল) জন্ম বৃদ্ধির হার ১.৮%, জন্মের হার ২৮.৫ ও প্রতি 

হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ১১.৫, গড় আয়ু পুরুষ : ৭৪ বছর, মহিলা : ৭৮ বছর, প্রতি

 বর্গমাইলে জনবসতির ঘনত্ব ২৯ জন। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনবসতির ঘনত্ব ১৪ জন (২০০৯)।


জনশক্তি : 

৬০,৪৯,০০০ জন, তন্মধ্যে শতকরা ৩৫ জন বিদেশী। শিল্প পক্ষত্রে শতকরা ২৫ ভাগ

চাকরি ক্ষেত্রে শতকরা ৬৩ ভাগ ও কৃষি ক্ষেত্রে শতকরা ১২ ভাগ (২০০৫ সাল)।


মাথাপিছু আয় : ২৫৪৬৬ মার্কিন ডলার, জিডিপি : ২২৬৩৫
মার্কিন ডলার


জাতীয় সঙ্গীত : 

‘আশ আল মালেক’। ইসলামের মহানুভবতায় দেশপ্রেমকে উজ্জীবিতকরণের ও দেশের

উন্নতিকল্পে দায়িত্ববোধ জাগ্রতকরণের বিষয়সংবলিত। এটি ১৯৫০ সালে জাতীয় সঙ্গীত 

হিসেবে গৃহীত হয়।গানের কথা দিয়েছেনে ইবরাহিম খাফাজি এবং সুর দিয়েছেন একজন 

মিশরিয় আব্দুল রাহমান আল-খাতেব।

স্থানীয় সময় : +৩ ঘণ্টা অর্থাৎ বাংলাদেশের দুপুর ১২টায় সাউদিতে সকাল ৯টা।


জাতীয় পতাকা :



পতাকার রঙ সবুজ। দৈর্ঘ্যরে দুই-তৃতীয়াংশ প্রস্থ এতে তাওহিদের মর্মবাণী  

لا إله إلا الله، محمد رسول الله     লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” 

অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো  ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 

আল্লাহর রাসূল।

এই কালিমা আরবিতে উৎকীর্ণ রয়েছে। কালিমার নিচেই একটি কোষমুক্ত তরবারি 

অঙ্কিত রয়েছে, যা দ্বারা ন্যায়বিচারকে বোঝানো হয়েছে। এ কালিমা উৎকীর্ণ থাকায় সৌদি 

আরবের পতাকা কখনো অর্ধনমিত করা হয় না। সবুজ রঙ ইসলামের ঐতিহ্যের দিকে 

ইঙ্গিত বহন করে।



জাতীয় প্রতীক : 


আড়াআড়ি দুইটি তরবারির ওপর একটি খেজুরগাছ হলো সৌদি আরবের জাতীয় প্রতীক। 
খেজুরগাছ দ্বারা বোঝানো হয়েছে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি। আর তরবারি দ্বারা ন্যায়বিচার, শক্তি 

ও নিরাপত্তা বোঝানো হয়েছে।


জাতীয় পঞ্জিকা : 

মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে 

মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণার্থে রচিত হিজরি সন অনুযায়ী সমস্ত 

কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। ৩৫৪ দিনে ও ১২ মাসে এক চান্দ্রহিজরি বর্ষ গণনা করা হয়। 

ঈদ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই হিজরি তারিখ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়। তবে ব্যবসা-

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানে আরবির পাশাপাশি ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী করা হয়।


সরকারি ছুটি : সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতি ও শুক্রবার। এ ছাড়াও ঈদুল ফিতর, ঈদুল 

আযহা, হজ ও জাতীয় দিবসে সরকারি ছুটি রয়েছে।

আবহাওয়া : 

তাপমাত্রা ১২ থেকে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে। বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্ত ও 

অনিয়মিত। দীর্ঘস্থায়ী উষ্ম ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল। রাতে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। 

শীতকালে হালকা তুষারপাত হয়।


জাতিসত্তা : আরব ৯০%, আফ্রো-এশীয় ১০%।

মুদ্রা : 

সৌদি রিয়াল, ১০০ হালালায় ১ রিয়াল (১ মার্কিন ডলার সমান ৩.৭৫ সৌদি রিয়াল)

সংবিধান : 

ইসলামি আইন (শরিয়া) মোতাবেক রচিত, ১৯৯৩ সালে এতে সরকারের অধিকার ও 

দায়িত্ব সম্পর্কিত ধারা ও উপধারা সংযোজন করা হয়েছে।

আইন বিভাগীয় ক্ষমতা : 


সৌদি মন্ত্রী পরিষদ। বর্তমানে সৌদিতে ২২টি মন্ত্রণালয় আছে।


১. পররাষ্ট্র

২. ইসলামিক, দাওয়াহ, ওয়াক্ফ ও ইরশাদ 

৩. হজ 

৪. স্বরাষ্ট্র 

৫. বিচার 

৬. অর্থায়ন 

৭. অর্থ ও পরিকল্পনা 

৮. প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচল 

৯. সংস্কৃতি ও তথ্য 

১০. শিক্ষা 

১১. উচ্চশিক্ষা 

১২. স্বাস্থ্য 

১৩. বাণিজ্য ও শিল্প 

১৪. পেট্রল ও খনিজ 

১৫. কৃষি 

১৬. শ্রম 

১৭. সামাজিক বিষয়ক 

১৮. পৌর ও পল্লী 

১৯. জনসেবা 

২০. যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি 

২১. পরিবহন 

২২. পানি ও বিদ্যুৎ।


বিচারব্যবস্থা : ইসলামি আইন অনুযায়ী বিচারব্যবস্থা পরিচালিত হয়।



গুরুত্বপূর্ণ শহর ও লোকসংখ্যা : 


(১) রিয়াদ,  জনসংখ্যা-৫৪৩১৮৯৩ জন।

(২) জিদ্দা (মক্কাঞ্চল)জনসংখ্যা-৩৪৩০৬৯৭ জন।

(৩) মক্কা মুকাররমাজনসংখ্যা-১৫৩৪৭৩১জন। 

(৪) মদিনা মুনাওয়ারাজনসংখ্যা-১১০০০৯৩ জন।

(৫) দাম্মাম (পূর্বাঞ্চল)জনসংখ্যা-৯০৩৩১২ জন।

(৬) তায়েফ (মক্কাঞ্চল)জনসংখ্যা-৬৬০৭৮৮ জন।

(৭) আল-আহসা (পূর্বাঞ্চল)জনসংখ্যা-৭২৮১২১ জন।

(৮) বুরাইদা (আল-কাছিম অঞ্চল)জনসংখ্যা-৬১৪০৯৩ জন।

(৯) তাবুকজনসংখ্যা-৫০২৬২৬ জন।

(১০) আল-খুবার (পূর্বাঞ্চল)জনসংখ্যা-৪৫৭৭৪৫ জন।

(১১) খামিস মুশাইয়াত (আছির অঞ্চল)জনসংখ্যা-৪৩০৮২৮ জন।

(১২) আল-জুবাইল (পূর্বাঞ্চল)জনসংখ্যা-৩৩৭৭৭৮ জন।

(১৩) হাইলজনসংখ্যা-৩১০৮৯৭ জন।

(১৪) নাজরানজনসংখ্যা-২৯৮২৮৮ জন।

(১৫) হাফরুল বাতন (পূর্বাঞ্চল)জনসংখ্যা-২৭১৬৪২ জন।

(১৬) জাযানজনসংখ্যা-২৫১৯৩৩ জন।

(১৭) আবহা (আছির অঞ্চল)জনসংখ্যা-২৩৬১৫৭ জন।

(১৮) ইয়ানবু (মদিনা অঞ্চল)জনসংখ্যা-২৩৩২৩৬ জন। 

(১৯) আরআর (উত্তরাঞ্চল)জনসংখ্যা-১৬৭০৫৭ জন। 

(২০) উনায়জা (আল-কাছিম অঞ্চল)জনসংখ্যা-১৫২৮৯৫ জন।


শিক্ষা : 

শিক্ষার হার ৯৫%। তন্মধ্যে পুরুষ- ৮৪.৭%, মহিলা-৭০৮%। সৌদি আরব আর্থসামাজিক 

উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত 

সব নাগরিকের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা। বর্তমানে সৌদি আরবের বাজেটের ২৫% এ 

খাতের জন্য বরাদ্দ। সেখানে বসবাসরত বিদেশীদের সন্তানদের শিক্ষার সুন্দর ব্যবস্থা 

বিদ্যমান। রিয়াদ, জিদ্দা ও দাম্মামে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা শিক্ষা 

বোর্ডের অধীনে পরিচালিত।


সংস্কৃতি : 

সৌদি আরবের সংস্কৃতি মূলত ইসলামি শরিয়াত ও ইসলামি শিক্ষার ওপর 

ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমি মক্কা ও মদিনা উভয়টি সৌদি আরবে 

অবস্থিত হওয়ায় ইসলামি সংস্কৃতি খুবই শক্তিশালী। প্রতিদিনই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের 

জন্য আজান হওয়া মাত্রই সব কিছুকে পেছনে ফেলে সবাই মসজিদপানে ছুটে যান, যা 

বিশ্বের দ্বিতীয় আর কোনো দেশে দেখা যায় না।


স্বাস্থ্য : 

স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। বিদেশীসহ সব 

নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০০৮ সালের তথ্য অনুযায়ী 

সৌদি আরবে হাসপাতালসংখ্যা ৩৯৩টি, শয্যাসংখ্যা ৫৩৮১৯টি, চিকিৎসক ৪৭৯১৯ জন

নার্সসংখ্যা ৯৩৭৩৫, সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী ৫১২৮৮ জন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৩১৩০টি 

(১৯৮৬ সরকারি)।


মোট জাতীয় আয় : মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ১৩.৫% (২০০৮ সাল)


অর্থনীতি : 

সৌদি অর্থনীতি মূলত তেলকেন্দ্রিক। বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদনকারী 

দেশ সৌদি আরবের ৯০% ভাগের বেশি আয় আসে তেল রফতানি থেকে এবং ৭৫% 

ভাগ আসে রাজস্ব থেকে। দাহরানে অবস্থিত আরামকো সৌদি তেল ব্যবস্থাপনার সরকারি 

কোম্পানি।


প্রাকৃতিক সম্পদ : 

তেল ও গ্যাস সৌদি আরবের প্রাকৃতিক সম্পদ। বর্তমানে প্রতিদিন 

১১ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে গ্যাসের মজুদ ১৮০.৫ ট্রিলিয়ন 

ঘনফুট। এ ছাড়া সেখানে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, দস্তা, সীসা, লোহা

অ্যালুমিনিয়াম, ইউরেনিয়াম, শিল্পের কাঁচামাল, ফসফেট, কয়লা, পাথর ও নির্মাণসামগ্রীর 

বিশাল মজুদ মরুময় দেশটিতে আছে।


শিল্প : 


বর্তমানে সৌদি আরবে দুই ধরনের শিল্প আছে।যথাঃ 

(১) ভারী

(২) মাঝারি। 


ভারী শিল্পের মধ্যে রয়েছে তেল শোধনাগার, যা বছরে ৬৫২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল 

পরিশোধন করে। পাশাপাশি বিটুমিন শিল্প যা ১৯৯০ পর্যন্ত ১৪ মিলিয়ন টন উৎপাদন 

করেছে। এবং মাঝারি শিল্পের মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য, নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক ও 

খনিজদ্রব্য। যা দেশটিকে দ্রুত শিল্পায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শিল্পকে উৎসাহিত 

করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুদবিহীন শিল্পঋণ প্রদান, কারখানার জন্য জায়গা ভাড়া প্রদান

সকল সুযোগ-সুবিধাসংবলিত শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বাসস্থান নির্মাণ, নামমাত্র মূল্যে 

সমস্ত চাহিদা জোগান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদিত দ্রব্যাদির 

অগ্রাধিকার দেয়া হয়। যাকাত ব্যতীত সর্বপ্রকার শুল্ক মাফ করা হয়। বর্তমানে মাঝারি 

আয়তনের শিল্প ইউনিটের সংখ্যা ২৩০০টি। সেখানে বিনিয়োগ রয়েছে ২৬ বিলিয়ন 

ডলার। সেখানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার।


ভূমিরূপ : 

             প্রধানত চার ভাগ। যথাঃ

(১) হিজায ও আছির এলাকার পাহাড়ি অঞ্চল;

(২) নজদ এলাকার উঁচু ভূমি

(৩) বালুময় মরুভূমি এবং 

(৪) পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় সমতল ভূমি।


কৃষি : 

কৃষি ক্ষেত্রে সৌদি আরব অতি অল্প সময়েই দ্রুত উন্নয়ন সাধিত করেছে। যদিও সেখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমনÑ স্বল্প বৃষ্টি, ভূগর্ভস্থ পানির স্বল্পতা, সৌদি জনগণের কৃষির প্রতি অনীহা, কৃষিযোগ্য ভূমিসমূহ অধিক বালুকাময় বা অনেক উঁচু ও অনেক নিচু। তবুও কৃষি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনামূল্যে জমি বিতরণ করে দেয়ায় তা চাষের আওতায় এসেছে। উপরন্তু বিনা সুদে কৃষিঋণ বিতরণ করা হয় এবং উৎপাদিত ফসল সরকার অতি উচ্চ মূল্য দিয়ে সরাসরি কৃষক থেকেই ক্রয় করে নেয়। আর এসব কারণেই খাদ্যে আমদানিনির্ভর দেশটি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে এবং কিছু কিছু পণ্যের যেমন গম রফতানিকারক দেশও হয়েছে। এতে করে ১৭ বছরের মধ্যে কৃষি আবাদযোগ্য ভূমির আয়তন প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ভূমিতে বর্তমানে শতকরা ৭৩ ভাগ খাদ্যদ্রব্য ও শতকরা ২৭ ভাগে তরিতরকারি, ফল ও ঘাস উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষিভূমির শতকরা ৫৭ ভাগ রিয়াদ, আল-কাছিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। শতকরা ১৯ ভাগ জাযান, আসির, নাজরান, বাহা ও উত্তরাঞ্চলে। শতকরা ১৩ ভাগ হাইল, তাবুক ও আল-জাওফেবাকি ১১ ভাগ পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে।

বিদ্যুৎ : 

সৌদি আরবের সব আবাদি এলাকায় ইতোমধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে। ২০০৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৮১০৯৮ মিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৩% বাসাবাড়ি, ১২% বাণিজ্যিক, ১১% সরকারি, ১৮% শিল্প, ২% কৃষি এবং ৪% অন্যান্য খাতে ব্যবহৃত হয়।

দুই মসজিদের উন্নয়ন :


সৌদি আরব হারামাইনের দেশ। তাই খাদিমুল খারামাইন এই পবিত্র দুই মসজিদের উন্নয়নের জন্য অকাতরে অর্থ ব্যয় করেন। হজ্জযাত্রী, উমরাকারী ও যিয়ারতের উদ্দেশ্যে আগমনকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির নিমিত্তে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মসজিদদ্বয়ের ধারণক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে।


মানবিক সাহায্য : 

জাতিসঙ্ঘ কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় যে, ২০০৮ সালের মানবিক সাহায্য ফান্ডে বিশ্বের সর্বোচ্চ ২০টি দাতা দেশের মধ্যে সৌদি আরব শীর্ষস্থান অধিকার করেছেÑ যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। প্রতি বছর রমজান মাসে সৌদি সরকার বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী শুভেচ্ছা উপহারস্বরূপ উন্নতমানের খেজুর প্রেরণ করে থাকে।

সৌদি-বাংলা সম্পর্ক : 

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালের ৮ জানুয়ারি সৌদি আরবে বাংলাদেশী দূতাবাস খোলে ও সৌদি আরব ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাস খোলার মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ়তর হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে অগ্রাধিকার দেন। বর্তমানে সৌদি আরবে ২০ লক্ষের বেশি বাংলাদেশী সৌদি আরবের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছেন।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ৩৭% সৌদি আরব থেকে আসে। বাংলাদশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সৌদি-বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এগ্রিকালচারাল কোম্পানি (সাবিনকো), মানারাত, ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যাংক, সৌদি-বাংলা গ্রুপ এবং বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদসহ শত শত মসজিদ, মাদরাসা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, সিডরে অবারিত সহায়তা, রমজানে খেজুর ও কোরবানির গোশত প্রদান, শীতলক্ষ্যা সেতু ও মগবাজার ফাইওভারে অর্থায়ন ও দ্বিপাক্ষিক ভ্রমণ ও বৈঠক সব কিছুই এ সম্পর্কের নিদর্শন। ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে অনেক বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ও ইসলামিক বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উল্লেখ্য সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লক্ষ বাংলাদেশী রয়েছে এবং দেশে প্রায় ৪৬% রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন সৌদি প্রবাসীরা।


মুসলিম উম্মাহর সেবায় সৌদি আরবের অবদান

মুসলিম উম্মাহর সেবায় সৌদি আরব যেসব ভূমিকা পালন করে থাকে তা নিন্মরূপঃ

1. খাদেমুল হারামাইন
2. বিভিন্ন দরিদ্র মুসলিম দেশকে আর্থিক সাহায্য প্রদান।
3. হাজিদের হজ্জ পলনের সুব্যবস্থা করা।
4. অমুসলিম দেশের  সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহায়তা করা।
5. নওমুসলিমদের উৎসাহ প্রদান।
6. বিভিন্ন সংগঠন নিয়োগ।
7. সৌদি আরবের সহল শ্রমিক মুসলমান।

সৌদি আরবের বিভিন্ন সংগঠনের কার্যাবলী

1. মজলুম ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
2. দূর্যোগে সহায়তা প্রদান ও পূনর্বাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ ও বাঁধ নির্মাণ।
3. সেভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোর রাজধানীতে বিশাল ইসলামী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ছোট শহর গুলোতে মসজিদ নির্মাণ।
4. বিনামূল্যে কুর’আন বিতরণ করা।
5. পৃথিবীর সকল ভাষায় অনূদিত তাফসীর প্রকাশিত হয় সৌদি থেকে।
6. আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠান স্থাপন।
7. ছাত্র বৃত্তি প্রদান
8. ইউরোপ ও আমেরিকার প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সৌদির উদ্যেগে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু করা হয়েছে।


সৌদি আরবের ধর্মীয় গুরুত্ব

ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে সৌদি আরবের গুরুত্ব অপরীসিম কেননাঃ

1. সৌদি আরব ইসলামের উৎপত্তিস্থল
2. কিবলার অবস্থান সৌদি আরবে
3. অসংখ্য নবী রাসূলের পদচারণা
4. কুর’আন নাযিলের পবিত্র স্থান
5. জাবালে রহমত পাহাড়ের অবস্থান
6. জিহাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহ সৌদিতে অবস্থিত
7. মহানবী [স] এর জন্ম স্থান এবং রওজা
8. বায়তুল্লাহর অবস্থান
9. দুনিয়ার জান্নাত
10. হজ্জ অনুষ্ঠান 
11. হিজরতের স্থান
12. কাবার অপরিসীম গুরুত্ব 
13. মসজিদে কুবার অবস্থান
14. মদিনা পাপ মোচনকারী শহর
15. সর্বশেষ মদিনা নগরী ধ্বংশ হবে।


কোন ধরনের বানান ভুল বা তথ্যে কোন ভুল থাকলে দয়াকরে ভুল সংশোধনে আমাকে সহায়তা করবেন।
                                      parvej.isdu@gmail.com
.................................................................................................

মোঃপারভেজ আহম্মদ
  ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ৫ম ব্যাচ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Write a letter to your friends inviting him to your sister’s marriage ceremony

বাংলা বানানে ‘ই-কার‘ এবং ‘ঈ-কার’ এর নিয়ম

বাংলায় মধ্য-অ এর উচ্চারণ