পোস্টগুলি

বাংলদেশ বিষয়াবলী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ রোহিঙ্গা পরিচিতি রোহিঙ্গা একটি ক্ষুদ্র - নৃগোষ্ঠী যারা নিজ দেশেও পরবাসী । রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় । আরাকানী মুসলিমরা সেখানে হাজার বছর ধরে বসবাস করলেও বাংলাভাষী ও মুসলিম হওয়ার কারনে তারা মিয়ানমারের সরকার ও নাগরিকদের কাছে বিদেশী , বাঙ্গালি বা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে পরিচিত । জাতি সংঘ রোহিঙ্গাদের   " বিশ্বের সবচেয়ে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী " হিসেবে অভিহিত করেছেন । কারও কারও মতে রোসাঙ্গ থেকে রোহিঙ্গা শব্দটির উদ্ভব । নবম - দশম শতকে আরাকান রাজ্য রোহান কিংবা রোহাঙ নামে পরিচিত ছিল । রোহিঙ্গা শব্দটি রোসাঙ্গ শব্দটি থেকে এসেছে । সেই অঞ্চলের অধিবাসী হিসেবেই রোহিঙ্গা শব্দের উদ্ভব । কারও কারও মতে , রোহিঙ্গা শব্দটি রেঙ্গুন শব্দের পরিবর্তিত রুপ । সেই মতে রেঙ্গুনে বসবাসকারী বার্মিজ সম্প্রদায় রোহিঙ্গা নামে পরিচিত । কারও কারও মতে আফগানিস্তানের রোহিঙ্গা জেলা থেকে আগত হওয়ার কারনে এই নামকরন । তাদের মতে , ইখতিয়ার উ...

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বাংলাদেশ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বাংলাদেশ উপস্থাপনা      যুদ্ধাপরাধ মানবতাবিরোধী এক ঘৃণ্য অপরাধ।স্বাধীনতাকামী জাতির উপর বর্বর নির্যাতন ও তাদের স্বাধীনতায় বাধাগ্রস্থ করাই তাদের প্রধান কাজ।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধ এক স্পর্শকাতর বিষয়। স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিবাহিত হলেও আমার সম্পূর্ণরূপে এ দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারিনি।তবে ২০০৯ সালের পর থেকে প্রধান প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের মুত্যুদণ্ড ও অন্যান্যদের বিচারের আওতায় আনার ফলে বর্তমানে এদেশের মানুষ কিছুটা হলেও বোঝামুকক্ত হতে পেরেছে। যুদ্ধাপরাধের সঙ্গা      যুদ্ধাপরাধ বলতে কোন দেশ, জাতি সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তি কর্তৃক যুদ্ধের প্রথা বা আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করাকে বোঝায়।      হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশিত   ‘দ্য বুক অব কমিউনিজম:ক্রাইম,টেরর,রিপ্রেশন’ গ্রন্থে যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে বলা হয়েছে,              “যুদ্ধের আইন বা প্রথা লঙ্ঘন করা বলতে হত্যা, নির্যাতন বা সাধারন নাগরিকদের নির্বাসিত করে অধিকৃত ...

বঙ্গবন্ধু-রচনা

ছবি
বঙ্গবন্ধু উপস্থাপনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের কল্যানের জন্য ব্যয় করেছেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘবদ্ধ করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।প্রত্যেক বাংলাদেশীর জন্য জাতির পিতার জীবনী সম্পর্কে জ্ঞঅনার্জন করা অপরিহার্য। জন্ম ও পরিচয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।গোপালগঞ্জ বর্তমানে একটি জেলা।তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান এবং তাঁর দাদার নাম শেখ আবদুল হামিদ।তাঁর মাতার নাম সাহেরা খাতুন এবং নানার নাম আবদুল মজিদ।তাঁর আকিকার সময় তাঁর নানা আবদুল মজিদ বঙ্গবন্ধুর নাম রেখেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং বলেছিলেন এ নাম জগৎ জোড়া খ্যাত হবে।পিতা-মাতা তাকে আদর করে ‘খোকা’ বলে ডাকতেন।এবং ভাইবোন ও গ্রামবাসির নিকট তিনি ‘মিয়াভাই’ বলে পরিচিত ছিলেন।বর্তমানে ১৭ই মার্চ সারাদেশে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। শৈশব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈমব সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন তাঁর ‘শেখ মুজিব আম...

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাগেরহাট জেলার রামপালে নির্মিতব্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা পশুর নদীর তীরে নির্মিত হবে।রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন থেকে ১৪ কি.মি দূরে এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান থেকে ৭০ কি.মি.দূরেবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মানে প্রধান দেশ হিসেবে সহায়তা করবে ভারত।বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মানের জন্য ভারতের হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড এর সাথে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হয়।১২০০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিতব্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের পিডিবি ও ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার লিমিটেড একত্রে কাজ করবে।দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কোম্পানি ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেণ্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি’।রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৩২০ মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ২০১৯ সালে। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য ইউনেস্কো বাংলাদেশকে ১৪টি শর্ত দিয়েছে।পশুর নদীর তীর ঘেঁষে এই প্রকল্পে ১৮৩৪ একর জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১০ সালে জমি অধিগ্রহণ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি  নির্মিত হলে বাগেরহাট তথা দক্ষিণ অঞ্চলে...

বঙ্গবন্ধু-১

ছবি
বঙ্গবন্ধু-১ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রাণলায়ের নিয়ন্ত্রানাধীন দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১।বিটিআরসি ও স্পারসো এটি চালু করাবে।এটি থৈরিতে কারিগরি সহায়তিা দিয়েছে ফ্রান্সের থেলিস আ্যালেনিয়া স্পেস এবং এটি ফ্রান্সেই তৈরি হচ্ছে।প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপন করা হবে।তবে এর স্টেশন হবে গাজীচুরের রাজেন্দ্রপুরে ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়।এ উপলক্ষে গাজীপুরে ৫ একর জায়গা জুড়ে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কো.লি.  এর পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হলে বাংলাদেশ হবে ৫৭ তম স্যাটেলাইট থাকা দেশে।এতে মহাকাশে অরবিটাল স্লট স্থাপনে সহায়তা করছে রাশিয়া এবং এর কক্ষপথ হবে ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ৪০ টি ট্রান্সপণ্ডার থাকবে যার ২০টি বাংলাদেশ ব্যবহার করবে বাকী বিশটি প্রতিবেশী ৬ টি দেশে ভাড়া দেওয়া যাবে।প্রথমে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর এবং পরে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ উৎক্ষেপনের কথা থাকলেও এটি ২০১৮ সালের এপ্রিলে উৎক্ষেপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উৎক্...

জাতীয় গণহত্যা দিবস

ছবি
জাতীয় গণহত্যা দিবস গণহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ  Genocide. ১৯৪৪ সালে শব্দটি প্রথমব্যবহৃত হয়।গণহত্যা বলতে সধারণত কোন দেশ,জাতি, গোষ্ঠী অথবা ভিন্ন মতাদর্শীদের খুন বা মানসিক বা শারিরীক নির্য়তনকে বোঝায়।১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর দীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে শ্বাসরোধ করতে ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ রাতে এদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবহিনী।অপরেশন সার্চ লাইটের নামে শুধু ঢাকাতেই ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ জনতা সহ ৫০ হাজারের অকিক লোককে হত্যা করে ঐ এক রাতেই।একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের প্রস্তাব ১১ মার্চ ২০১৭ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।জাতীয় সংসদে স্বীকৃতির পর ২০ মার্চ ২০১৭ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৫ মার্চ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের পর ২১মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরিপত্র জারির মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে ২৫ মার্চ তারিখকে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।এর ফলে এখন থেকে প্রতি বছর ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পারিত হবে। ...

বাংলাদেশের সংবিধান(টীকা)

ছবি
বাংলাদেশের সংবিধান(টীকা) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের পর ২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকার ঢাকায় এসে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে।১০ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান রচনায় মনোনিবেশ করেন।১১ জানুয়ারী ১৯৭২ স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘অস্থায়ী সংবিধান’ আদেশ জারি করেন।বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন।১০ এপ্রিল ১৯৭২ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। ১১ এপ্রিল ড.কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং একমাত্র মহিলা সদস্য ছিল রাজিয়া বানু।খসড়া কমিটি ৪৭টি বৈঠকের মাধ্যমে খসড়া চুড়ান্ত করে।১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান গণ পরিষদে উত্থাপন করা হয় এবং ৪ নভেম্বর ১৯৭২(১৮ কার্তিক ১৩৭৯) তা গৃহীত হয়।প্রতি বছর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৫ ডিসেম্বর সংবিধানে স্বাক্ষর করা হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে তা কার্য়কর হয়।বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১টি প্রস্তাবনা,১১টি ভাগ,১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল রয়েছে।রাষ্ট্রপরিচালনা...

নায়করাজ রাজ্জাক

ছবি
নায়করাজ রাজ্জাক নায়করাজ রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারী ভারতের দক্ষিণ কলকাতার টালিকঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম আকবর হোসেন ও মাতার নাম নিসারুন্নেসা।তার ডাকনাম ছিল রাজু, রাজা, রাজ্জাক ‘চিত্রালি’ সম্পদক আহমাদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দেন।তিনি ২ মার্চ ১৯৬২, বিবাহ করেন তার মোট ৫ সন্তান।কলকাতার হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার কারনে ১৯৬৪ সালে তিনি সপরিবারে বাংলাদেশে চলে আসেন।তার প্রথম অভিনীথ নাটক ‘বিদ্রোহী’।ঢালিউডে নায়ক হিসেবে তার প্রথম চলচিত্র জহির রায়হানের ‘বেহুলা’।তার অভিনীত শেষ সিনেমা ‘কার্তুজ’।তিনি বাংলা ও উর্দূ মিলে ৪০০ ও বেশী সিনেমায় অভিনয় করেছেন যার মধ্যে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন ৩০০ এর বেশী সিনেমাতে।পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।তার প্রযোজনা সংস্থা ‘রাজলক্ষী প্রডাকশন্স’।তিনি ২০১৫ সালে স্বাধীনতা পুরষ্কার লাভ করেন। এছাড়াও জীবনে ৫ বার জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার লাভ করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

ছবি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ১৯৯১ সালে এতিমখানা করার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালে কুয়েত ও সৌদি আরব থেকে এতিমখানার নামে টাকা আসে যার ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় রমনা থানার অধীনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান সহ মোট ছয় জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।মামলার আসামীরা হলো বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান,সলিমুল হক,শরফুদ্দীন আহমেদ এবং মমিনুর রহমান।৫ আগস্ট ২০০৯ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ১৯ মার্চ ২০১৪ অভিযোগ গঠন করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার অনাস্থার কারনে মোট ৫ বার বিচারক বদল করা হয়।৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ নিন্ম আদালতে এই মামলার রায় হয়।এতে বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় এবং অন্য আসামীদের ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়।ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড.আখতারুজ্জামান আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।এই রায়ের ফলে সংবিধানের ৬৬(ঘ) অনু...

Geographical Indication (GI)

ছবি
Geographical Indication (GI) Geographical Indication (GI) GI-এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication   যার বাংলা অর্থ হলো ‘ভৗগলিক নির্দেশক। GI পণ্য বলতে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যকে বোঝায়। GI হলো এমন একটি নাম বা সাইন যা একটি নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়। যা কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকার পণ্যের পরিচিতি বহন করে। এতে পণ্যটি ঐ দেশের পন্য হিসেবে বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। মেধাসত্ব বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা World Intellectual Property Organization(WIPO) সাধারণত ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন দেয়।WIPO এর সদর দপ্তর জে‌নেভা এবং এর বর্তমান সদস‌্য রাষ্ট্র ১৯৩‌টি। বাংলা‌দেশ ১৯৮৫ সা‌লে WIPO এর সদস‌্যপদ লাভ ক‌রে।বাংলাদেশে WIPO এর হয়ে স্থানীয় ভাবে কাজটি করে থাকে শিল্প মন্ত্রাণলায়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT).বাংলাদেশ ৬ নভেম্বর ২০১৩ ভৌগলিক নির্দেশক পন্য আইন করে ২ আগস্ট ২০১৫ বিধিমালা জারি করে। ২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(BSCIC) ঢাকাই জামদানি শাড়িকে   GI পণ্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য   DPDT তে আবেদন করে। ১...

মেট্রোরেল

ছবি
মেট্রোরেল যানযটপূর্ণ নগরী ঢাকাকে যানযট মুক্ত করতে উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।২৬ জুন ২০১৬ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের কাজ উদ্ভধোন করেন।এর দৈর্ঘ্য হবে ২০.১০ কিলোমিটার বা ১২.৫ মাইল।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’।এর পরামর্শক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছে ‘দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশন’। এর অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকা।এ উপলক্ষ্যে ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ জাইকার সাথে সরকারের একটি চুক্তি হয়।চুক্তি অনুযায়ী মোট ব্যায়ের ৮৫ শতাংশ প্রদান করবে জাইকা।এতে ২৪টি ট্রেন ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহণ করবে।সম্ভব্য স্টেশন সংখ্যা হবে ১৬টি।ট্রেনগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।পুরো কাজ তিনটি ধাপে শেষ হবে।প্রথম ধাপে পল্লবী থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার চালু হবে ২০১৯ সালে।দ্বিতীয় ধাপে সোনারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ৪.৪০ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হবে ২০২০ সালে।শেষ ধাপে পল্লবী থেকে উত্তরা পর্যন্ত ৪.৭ কিলোমিটারের কাজ স্মপন্ন হবে ২০২২ সালের মধ্যে।যথা সময়ে চালূ হলে মেট্রোরেল দে...

পদ্মাসেতু

ছবি
পদ্মাসেতু Top of Form মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা সংযোগ সেতু প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু।মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হবে ১৮.১০ মিটার দ্বিতল বিশিষ্ট এই সেতুর উচ্চতা হবে ১৩.৬ মিটার।উপরের তলায় হবে সড়কপথ আর নিচের তলায় হবে রেলপথ।২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতুর মূল কাজের উদ্ভোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর নির্মান কাজ পায় ‘চায়না মেজর ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’।সেতু নির্মানের মোট সম্ভব্য ব্যয় হবে ২৮৭৯৩.৩৯ কোটি টাকা।২০১৯ সালে সেতুটির নির্মান কাজে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।জানুয়ারী ২০১৮ পর্যন্ত এর ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নং পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানো হয় এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারে স্প্যান বসানোর ফলে মূল সেতুর ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।সেতুটির মোট পিলারের সংখ্যা হবে ৪২টি এবং পাইল হবে ২৫২টি জানুয়ারী ২০১৮ পর্যন্ত ৮৮টি পাইলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্মানাধীন আছে আরো ১০টি পাইলের কাজ।বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ৩৬০০ টন ওজনের হ্যামার দিয়ে পাইল ড্রাইভ করা হচ্ছে।পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জ...

4G যুগে বাংলাদেশ

ছবি
4G যুগে বাংলাদেশ 4G শব্দের অর্থ Fourth Generation বা চতুর্থ প্রজন্ম । 4G নেটওয়ার্ক বলতে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ককে বোঝায় । ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (BTRC) 4G ইন্টারনেট তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করে । ১৯ ফেব্রয়ারী ২০১৮ মোবাইল অপরেটাদের হাতে 4G লাইসেন্স তুলে দেয় BTRC এর মাধ্যমে 4G যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ । এর নিলাম থেকে সরকার প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা লভ্যংশ পায় । ২০০৬ সালের এপ্রিলে প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরয়িা 4G যুগে প্রবেশ করে । 3G এর তুলনায় 4G প্রায় ৫০ গুন বেশী গতি সম্পন্ন হলেও বাংলাদেশে এর ব্যবধান ৪ গুণ হবে । এর প্রকৃত ব্যাণ্ডউইথ ১০ এমবিপিএস । 4G তে প্যাকেট সুইচ এর পরিবর্তে IP ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যভহার করা হয় । এর ফলে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের ছবি ও ভিডিও দেখা যাবে । বর্তমান বিশ্বের ১৮০টি দেশে 4G চালু রয়েছে । তাতে গড়গতি ১৬ . ৬ এমবিপিএস । সবচেয়ে গতি বেশী সিঙ্গাপুরে এবং তা ৪৬ . ৬৪ এমবিপিএস । বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের বর্তমান গতি২ ...