বাংলাদেশের সংবিধান(টীকা)

বাংলাদেশের সংবিধান(টীকা)
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের পর ২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকার ঢাকায় এসে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে।১০ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান রচনায় মনোনিবেশ করেন।১১ জানুয়ারী ১৯৭২ স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘অস্থায়ী সংবিধান’ আদেশ জারি করেন।বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন।১০ এপ্রিল ১৯৭২ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। ১১ এপ্রিল ড.কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং একমাত্র মহিলা সদস্য ছিল রাজিয়া বানু।খসড়া কমিটি ৪৭টি বৈঠকের মাধ্যমে খসড়া চুড়ান্ত করে।১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান গণ পরিষদে উত্থাপন করা হয় এবং ৪ নভেম্বর ১৯৭২(১৮ কার্তিক ১৩৭৯) তা গৃহীত হয়।প্রতি বছর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৫ ডিসেম্বর সংবিধানে স্বাক্ষর করা হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে তা কার্য়কর হয়।বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১টি প্রস্তাবনা,১১টি ভাগ,১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল রয়েছে।রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি ৪টি।এ পর্যন্ত সংবিধানে মোট ১৬ বার সংশোধনী আনা হয়েছে।৫ম তফসিলে জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ,৬ষ্ঠ তফসিলে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৭ম তফসিলে মুজিবনগন সরকার কর্তৃক জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Write a letter to your friends inviting him to your sister’s marriage ceremony

বাংলা বানানে ‘ই-কার‘ এবং ‘ঈ-কার’ এর নিয়ম

বাংলায় মধ্য-অ এর উচ্চারণ