পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি
৩
এপ্রিল ২০১৬ মধ্যে আমেরিকার দেশ পানামার আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকা থেকে
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অর্থ পচারের বিষয়ে ১ কোটি ১৫ লক্ষ নথি ফাঁস হয়।কর
ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের অর্থ পাচারের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়
ঐসব নথিতে।এত বিশ্বের ২০০টি দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব,৭২ জন সাবেক ও বর্তমান
রাষ্ট্রপ্রধান,কয়েকশ রাজনীতিবীদ সহ অসংখ্য প্রভাবশালী লোকের কর ফাঁকি দিয়ে
নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার গোমর ফাঁস হয়ে যায়।এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় তথ্য
ফাঁসের এ ঘটনাটি ‘পানামা পেপারস কেলেঙ্করি’ নামে পরিচিত।এর জের ধরে আইসল্যাণ্ডের
প্রধানমন্ত্রী সিগমুণ্ড গুনলাগসন ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেন এবং ২০১৭ সালে পাকিস্তানের
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরীফের সম্পদের পরিমান নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হয়
এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাকিস্তান সংবিধানের ৬৬(১)(এফ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে
প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষনা করা হয়।এর পরই তিনি পদত্যাগ করেন।পাকিস্তানের
৭০ বছরের ইতিহাসে কোন প্রধনমন্ত্রীই তার পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। এতে
বাংলাদেশর ২৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আসে কিন্তু তাদের ব্যাপারে বিস্তারিতি
কিছু জানা যায়নি।১৭ অক্টোবর ২০১৭ পনপমা পেপারস দুর্নীতি ফাঁসকারী সাংবাদিক ডেফনে
কারোয়ানাকে বোমা বিস্ফোরনের মাধ্যমে মাল্টায় হত্যা কারা হয়।
মন্তব্যসমূহ