পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর প্রধান সাহিত্যকর্ম
জসীমউদ্দীন
১৯২০ কি ১৯২১ সালের কথা,সমগ্র কোলকাতায় হৈ চৈ পড়ে গিয়েছে দশম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলের কবিতায়, আর পাঠ্যপুস্তক কমিটিও ডিগ্রি ক্লাসে পাঠ্যভুক্ত করে ফেললো কবিতাটি, সেই সাথে তিনিও হয়ে গেলেন পৃথিবীর প্রথম সৌভাগ্যবান কবিদের মধ্যে অন্যতম কবি যিনি নিজের লেখা কবিতার প্রশ্নোত্তর লিখে ডিগ্রি পাস করেন।এরপর ড.সেন এর উপযুক্ত শিষ্য হিসেবে বাংলার জেলাগুলোর বিশেষভাবে ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ জেলার মানুষের মুখে পঠিত গীত-পুঁথি সংগ্রহ ও গবেষণা (কাব্য-লোকগাথা) করেন এবং লোকসংস্কৃতির উপাদান প্রত্যক্ষ করেন। প্রকৃতি উত্সারিত স্বাভাবিক ও মৌলিক লোকজ ধারাটি তাঁর আগে আর কেউ তেমন সহজভাবে আধুনিক কাব্যধারার সঙ্গে এক করতে সক্ষম হননি। তিনি ছিলেন আপদমস্তকে খাঁটি কবি এবং তাঁর অমর সাহিত্যকর্মই কালজয়ী ইতিহাস।তিনি আমাদের পল্লীকবি জসীম উদ্দীন।
2. তাঁর পিতার নাম মৌলভী আনসার উদ্দীন আহমদ এবং তাঁর মাতার নাম আমেনা খাতুন।
3. তাঁর পৈত্রিক নিবাস ফরিদপুরের গোবিন্দপুর।
4. তাঁর বিখ্যাত কাব্য সংকলন সুচয়নী (১৯৬১)
5. তাঁর পূর্ণ নাম মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন মোল্লা।তিনি তুজম্বর আলী ছদ্ম নামে লিখতেন।এবং তাঁর উপাধি ছিল ‘পল্লীকবি’
6. তিনি ১৩ মার্চ ১৯৭৬ সালে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
7. তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।
8. বাংলা একাডেমী ২০১৯ সালে ‘জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ প্রবর্তন করে এবং ২০১৯ সালে প্রথমবার কবিদের কবি নির্মেলন্দু গুন এ পুরস্কার লাভ করেন।
9. তাঁর বিখ্যাত গাঁথাকাব্যঃ-
a. নকশী কাঁথার মাঠ
b.সেজন বদিয়ার ঘাট
c.মা যে জননী কান্দে
10.কাব্যগ্রন্থঃ-
**রাখালী (প্রথম-১৯২৭)
** বালুচর
** ধানক্ষেত
** রুপবতী
** মাটির কান্না
** সুচয়নী
** পদ্মা নদীর দেশে
11.নাটকঃ-
** পদ্মপাড়
** বেদের মেয়ে
** মধুমালা
** পল্লীবধু
** গ্রামের মায়া
12.গানের সংকলনঃ-
** রঙিলা নায়ের মাঝি
** গাঙ্গের পাড়
** জারিগান
** মুর্শিদি গান
13.শিশুতোষ গ্রন্থঃ-
** হাসু
** এক পয়সার বাঁশি
** ডালিম কুমার
14. ভ্রমন কাহিনীঃ-
** চলে মুসাফির
** হলদে পরীর দেশ
** যে দেশে মানুষ বড়
15.আত্মকথাঃ-
** যাদের দেখেছি
** ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়
** জীবন কথা
16. একমাত্র উপন্যাসঃ-
** বোবা কাহিনী
17. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কব্যগ্রন্থঃ-
** ভয়বহ সেই দিনগুলিতে
মন্তব্যসমূহ