স্পাইডারম্যান


স্পাইডারম্যান
আমাদের এমন ক্রান্তিকালে স্পাইডারম্যান যে সত্যিই আসবে একথা কেউ কল্পনাও করেনি।তবে একথা অবশ্য ঠিক যে স্পাইডারম্যান সব সময় সমস্যা জর্জরিত স্থানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে থাকেন।আমি নিজে স্পাইডারম্যানকে এখনো দেখিনাই।তবে লোকমুখের ভাষ্য অনুযায়ী নিশ্চিত হয়েছি যে তিনি এসেছেন।আমাদের এমন দুঃসময়ে স্পাইডারম্যানের আগমন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।তার প্রথম সাক্ষাত পেয়েছেন ঢাকার কমলাপুর সংলগ্ন বস্তিবাসীগণ।গত সপ্তাহে সেখানে দূর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ড ঘটে।দমকল বাহিনীর প্রাণপণ চেষ্টার মাঝেই দেখা যায় স্পাইডারম্যান একটি শিশুকে কাঁধে নিয়ে আগুনের মধ্যে থেকে ঝুলতে ঝুলতে আসছে। গণমাধ্যম গুলোতে খবরটি বেশ সাড়াও ফেলেছে।তবে সমালোচনাও কম হচ্ছেনা।

গত শুক্রবার শাহবাগ মোড়ে বারডেম হাসপাতালের সামনে চা পান করার সময় স্পাইডারম্যান সম্পর্কে আলোচনা চলছিল।আলোচনার মাঝেই দোকানদার হাফিজ বলে উঠল

-ভাইজান মিডিয়ার উপর আমার বিশ্বাস নাই।আমি কিন্তু স্পাইডারম্যানেরে বিশ্বাস করি নাই।
-কেন?
-আচ্ছা কনদেহি স্পাইডারম্যান ক্যামনে বস্তির মইধ্যে ঝুলাঝুলি করছে?ওইহানেতো আর বড় বড় বিল্ডিং নাই আবার বড় কোন গাছও নাই?তাইলে সে ক্যামনে একটা বাচ্চারে কাঁধে লইয়্যা ঝুলতে ঝুলতে বস্তির থাইক্যা বাইরাই আইলো?এসব অইলো ধান্দাবাজি।
-কথা ঠিক।তবে এলে ক্ষতি কি?
-হেইডা অবশ্য ঠিক। আইলে মন্দ অয়না।

হাফিজকে চায়ের দাম দিয়ে আবার হলের দিকে যাত্রা শুরু করলাম।সলিমুল্লাহ মুসলিম হল,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।টিভির রুমে ঢুকতেই আমি অবাক!রুমে আমার জন্য কোনো জায়গা হলোনা।স্পাইডারম্যানের সংবাদ এখন বাংলার প্রতিটি টিভিতে।দুই-চার মিনিট পরপর আপডেট হচ্ছে।

রাতে ঘুমানোর সময় আমার মাথায় এক অদ্ভুত চিন্তা চেপে বসলো। এই স্পাইডারম্যানটা কি বাঙালী? নাকি আবার এই ভদ্রলোকও ইংরেজ।ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির মত আমাদের গ্রাস করতে আসেনি তো?না স্পাইডারম্যান এটা করতে পারেনা।ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম আমার জানা নেই।

আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থি এখন চরমে।বিগত বছর গুলোকেও হার মানিয়েছে।দেশে এখন সরকারী ছুটি দুইদিন, শুক্রবার এবং শনিবার।অপরদিকে সপ্তাহের বাকী পাঁচদিন অঘোষিত বিরোধীদলীয় ছুটি।হরতাল অথবা অবরোধ,বিক্ষোভ অথবা সমাবেশ কিছুনা কিছু সবসময় লেগেই আছে।তবে এসবে আমার কোন ভাবনা নেই।কেননা আমার মত পায়ে হাটা যাত্রীর জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচী কোন বাধা হতে পারেনা।

সকালবেলা এমনিতেই আমার ঘুম একটু দেরিতে ভাঙে।তবে আজ বোধহয় একটু বেশী ঘুম হয়েছে।ঘুম থেকে উঠতেই এগারোটা বেজে গেল।মনেমনে চিন্তা করলাম ভাগ্যিস বারোটা বাজে নাই।নাস্তা করে বাইরে বের হলাম।অবরেধ থাকলেও পরিস্থিতি আজ অনেকট স্বাভাবিক।হাফিজের চায়ের দোকানে আসতেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে গেল।

-ভাইজান ঘটনা শোনছেন?
-না।
-আইজ স্পাইডারম্যানের নিজের চোক্ষে দেখছি।
-বলিস কি!
-জ্বে ভাইজান।তহন মনে করেন সক্কাল আটটা কি নয়টা অইবে।একদল ইয়াং লোক অবরোধের মিছিল নিয়া আইতেছিল।সমানে একখান বাস পড়তেই পিডাপিডি শুরু।যাত্রীরা সব জানালা দিয়া লাফা লাফি শুরু করছে।লগে লগেই স্পাইডারম্যান হাজির।হাত দিয়া থুথু মাইরা প্রথমে পোলা কয়ডারে আন্দা বানাইছে।হের পরে আসমানে জাল বুইন্না বারডেম আর পিজির মাঝে কমপক্ষে এক-দেড় ঘন্টা ঝুলায় রাখছে।

-ঘটনাতো সাংঘাতিক!
-জ্বে ভাইজান। একেবারে ফিল্মি স্টাইল।
-..এইজন্যই বোধহয় রাস্তায় গাড়ি আজ বেশী চলছে।
-অইতে পরে।

রাস্তায় আজ অনেক গাড়ি।বর্তমান সময়ের হরতাল বা অবরোধে এমনটা দেখা যায়না।চা এর দাম দিয়ে আবার পা বাড়ালাম।টিউশনিতে যেতে হবে।লগাতার কর্মসূচীতে স্টুডেন্টদের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে গেছে।অন্যদিকে ক্লাস না হলেও পরীক্ষা ঠিকই হচ্ছে।তারপর আবার হরতাল আর অবরোধের কারনে পরীক্ষার তারিখ সময় পরিবর্তন করতে করতে মাস্টার মশাইয়েরা হাফিয়ে যাচ্ছেন।আমার মোট তিনটি স্টুডেন্ট আছে।একজন অঘোষিত হলেও বাকী দুইজন স্বীকৃত।একজনের নাম ওমর ফারুক অন্যজন উসমান ফারুক আর অঘোষিত বিদ্বান বালকের নাম অর্ণব। টিউশনিতে ঢুকতেই আমার ছাত্ররা স্পাইডারম্যান সম্পর্কে জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে উঠল।তার একমাত্র কারণ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই স্পাইডারম্যানের বিরত্ব প্রদর্শণ।স্টুডেন্টদেরকে কোনভাবে শান্ত করে আমরা পড়াশোনাতে মনোযোগ দিলাম।

সারাদিন এদিক সেদিক ঘোরাফেরা আর অপ্রয়োজনীয় কাজ সেরে হলে ফিরছিলাম।সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলে পৌঁছতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে থেকে পাড়ি জমালাম।রাত তখন ১২টার কাছাকাছি।ঢাকা শহরের জন্য এটা খুববেশী রাত না হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাইরে লোকজন একেবারেই নেই। শিখা চিরন্তন পার হয়ে একটু সামনে এগোতেই অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা।সেখানে কয়েটা গাছ আছে।সেখানে পৌঁছতেই মনে হলো গাছগুলো আচমকা নড়ে উঠল।উপরে তাকাতেই ঝাপসা আলোতে দুই গাছের মাঝে স্পাইডার নেট দেখতে পেলাম।বোধহয় তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।আমার আগমনে স্থান ত্যাগ করেছেন।তবে ঘটনা বিপরীত।তিনি স্থান ত্যাগ করেন নাই।নিচে নেমে এসেছেন।একবারেই আমার সামনে।তার প্রিয় লাল রং এর পোশাক পরিহিত অবস্থায়।নেমেই আমাক জিজ্ঞাসা করলেন

-নাম কি?
আমি বললাম আপনি বাংলা জানেন?
-জানতাম না তবে শিখেছি
-কোথা থেকে?
-কয়েকটি বাঙালি স্পাইডার আমাকে শিখিয়েছে।
- আচ্ছা!
-আমি আপনার নাম জিজ্ঞাসা করেছি
-জ্বি, আমার নাম পার্বতী পারু।
-এটা আপনার আসল নাম না।
-নামের আবার আসল নকল কি?
-তাই বলে মেয়েদের নাম?
-নামটা আমার ভালো লাগে তাই।
-কোথায় থাকেন?
-এস.এম হল।তবে আপনি আমকে এত কিছু জিজ্ঞাস করছেন কেন বলুনতো?
-এমনিতেই।আপনিকি সবসময় এত রাত করেই ঘরে ফেরেন?
-মাঝে মধ্যে
- আচ্ছা।
-আমি কি এখন যেতে পারি?
-যেতে চাইলে যান তবে আপনি চাইলে আমিও আপনাকে লিফট দিতে পারি।
-না থাক। আমি একাই যেতে পারব।আমার পায়ে হাটার অভ্যাস আছে।

আর কথা না বাড়িয়ে সামনে হাটা শুরু করলাম।
আজ টিউশনিতে গিয়ে লিটল মাস্টারকে দেখে আমি চমকে গেলাম!সে আজ স্পাইডারম্যান সেজেছে।অপর দুইজন স্পাইডারম্যান সম্পর্কে আপডেট জানার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। অবশ্য সেমগ্র দেশজুড়েই এখন স্পাইডারম্যান সম্পর্কে আলেচনার ঝড় উঠেছে।প্রথমে সমালোচনা বা অবিশ্বাস থাকলেও এখন সবাই আনন্দিত।দেশের এমন ক্রান্তিকালে তার আগমন জনমনে স্বস্তির আভাস ফেলেছে।দোকানগুলোতে প্লাস্টিক রাবারের স্পাইডারম্যন ঝুলছে।প্রতিদিন শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে স্পাইডারম্যানের বিভিন্ন পেশাক মাস্ক।সর্বোপরি স্পাইডারম্যান এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে।আজ আবার একটা নতুন কাণ্ড ঘটেছে।সকালে চট্টগ্রামে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ এবং সরকার সমর্থিত বাহিনী হামলা চালালে স্পাইডারম্যান সেখানেও হাজির হয়।তার আগমনে কিছু কিছু লোক পলিয়ে গেলেও কতিপয় পুলিশ টিয়ারশেল,রাবারবুলেট,জলকামান প্রভৃতির সাহায্যে স্পাইডারম্যানকে দমানোর চেষ্টা চালান।কিন্তু অপ্রতিরোধ্য স্পাইডারম্যান সকল বাধা দূর করে অস্ত্রধারীদেরকে তার নেট দ্বারা বেঁধে রেখছে তার পাশেই চলছে বিরোধী দলের সংবাদ ব্রিফিং।সেখানে নেতা বলছেন

-জনগন আমাদের সাথে আছে।সরকারের অত্যাচার,নিপীড়ন আর স্বৈরাচারী মনোভাবে জাতি আজ অতিষ্ঠ।প্রতিটি জনগন যেমন তার বাক-স্বাধীনতা হারিয়েছে তেমনি হারিয়েছে স্বাভাবিক ভাবে বসবাসের নিরাপত্তা।জাতির এই ক্রান্তিকালে স্পাইডারম্যানকে আমাদের পাশে থাকার জন্য তাকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আমাদের এই গনতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয় সুনিশ্চিত।

তবে পুলিশের অভিযোগ বিনা কারনে স্পাইডারম্যান তাদের হামলা করেছে।

দেশের বর্তমান আলোচনার একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু স্পাইডারম্যান।যেখানেই বিপদ সেখানেই স্পাইডারম্যান।বর্তমানে স্পাইডারম্যানের সাথে আমার বেশ সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।মাঝে মধ্যে সোহরাওয়ার্দীর খোলা আকাশের নিচে স্পাইডার নেটে শুয়ে শুয়ে আমর গল্প করি।আজও গল্প হচ্ছে।তবে আজ স্পাইডারম্যান অনেকটা ব্যস্ত হয়ে কোথায় যেন গেল।সম্ভবত কোথাও কোন বিপদ হয়েছে।হয়তো সেখানেই গিয়েছে।তবে আমি পড়েছি মহাবিপদে।নেট থেকে নামা আমার পক্ষে সম্ভব না।আশাকরি স্পাইডারম্যানও সেটা জানে।

প্রায় দুই তিন ঘন্টা পর স্পাইডারম্যান এলো।আমি তাকে প্রশ্ন করলাম
-দোস্ত কোথায় গিয়েছিলে?
-চাদপুর
-আরে বাপরে!এত তাড়াতাড়ি?সমস্যাটা কি?
- বিরেধী দলের লোকেরা ট্রেনলাইন উপড়ে ফেলেছে।
- আচ্ছা।
-ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলনা।এখনই একটি ট্রেন আসছিল।
-সাংঘাতিক ব্যাপার!তুমি কি ট্রেনটিকে বন্ধ করতে পেরেছ?
-হুম।
-আহ! শান্তি পেলাম।ট্রেনটি বন্ধ না হলে অনেক বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো



নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে স্পাইডারম্যানের জনপ্রিয়তা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে,স্পাইডারম্যান যাকে সাপোর্ট দিবে তার বিজয় আনেকটা নিশ্চিত।বিরোধীদল একটি কৌশল অবলম্বন করেছে।তারা কোন সংঘাতমূলক কর্মসূচী দিচ্ছেনা যাতে করে স্পাইডারম্যানের সমর্থনটি তাদের পক্ষেই থাকে।অবশ্য সরকারও এখন অনেক সচেতন হয়ে সামগ্রিক কাজ করছে।উন্নয়নের উদ্যেগ নিতে কোন প্রকার ত্রুটি হচ্ছেনা।তবে বিরোধী দলকে ফাসাতে গিয়ে তারা নিজেরাই ফেসে গেছে।গত মঙ্গলবারেই এই অমঙ্গলসূচক ঘটনাটি ঘটেছে।বাসে আগুন দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সরকারী দলের তিনজন কর্মী।ফলে সরকার এখন স্পাইডার ম্যানের সমর্থন থেকে অনেকটা দূরে সরেগেছে।এই চিন্তায় সরকার প্রধানের আরামের ঘুম হারাম হয়েছে।তবে মিডিয়াগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রনে।অনিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো ইতিমধ্যে বন্ধকরা হয়েছে।এরই ধারাবহিকতায় ক্ষমতার লড়াইএ নিজেকে আবারও বিজয়ী দেখতে সরকার এক মস্তবড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তারা জনসমর্থন পাওয়ার জন্যে ক্যামেরার সামনে নকল স্পাইডারম্যানকে দাড় করিয়েছে।যে সরকারের পক্ষে সাফাই বক্তব্য প্রদান করছে।বিষয়টি আজ সকালেই আমার চোখে পড়েছে।রাত নয়টারদিকে কাকরাইলের একটি চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে খবর দেখছিলাম।সেখানে স্পাইডারম্যান চ্যানেল মুলোতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন এভাবে-

Dear listener,
I am Spider man.I want to say that all the people of Bangladesh is in a great denger.The Opposition Party makes this country as like as The Hell.So I want to say in brief that all the people of this country should vote to the Government party and regard them as Government for next time.There have great victory for the people of Bangladesh.


স্পাইডারম্যানের বক্তব্য শুনে সকলেই বিস্মিত।জনমত এখন সরকারের পক্ষে।তবে আমার মনে একটু সন্দেহ জাগলো।স্পাইডারম্যান বাংলা জানা সত্ত্বেও জনগনের বোঝার সুবিধার্থে বাংলায় বক্তৃতা না দিয়ে ইংরেজিতে দিল কেন?তবে কি সে তার মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ইংরেজিতে বক্তব্য দিয়েছে?পরে অবশ্য ভাবলাম সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার।বেশি দেরি না করেই সোহরাওয়ার্দীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।আজ স্পাইডারম্যানের মনটা খুব বেশী ভালো মনে হলো না।আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম

-দোস্ত বক্তৃতাটা বাংলায় দিলে ভালো হতো না।
-তোমরা বাঙালীর খুব খারাপ
-কেন দোস্ত?
-ভাষনটা আমার ছিলনা।
-আমারও প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল।কিন্তু ভাষণটি ছিল কার?
-জানিনা।তবে এটা সাজানো নাটক।
-হতে পারে।তবে দোস্ত তোমার ধারনাটি কিন্তু সঠিক নয়।
-কোনটি?
- যে বললে,বাঙালিরা খারাপ।আসলে মানুষের মাঝে ভালো খারাপ সবই আছে।তাই বলে সব বাঙালি খারাপ না।সামান্য কয়েকজন বেঈমানের জন্য সকল বাঙালি খারাপ হতে পারে না।আসলে বাঙালিরা মাটির মানুষ।সকল বাঙালি স্পাইডারম্যানকে অনেক ভালোবাসে।তুমি চিন্তা করো না। সবকিছু অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।
-তার আগেই আমি চলে যাব।
-কোথায়?
-আমার গন্তব্যে।
-না দোস্ত।এটা ঠিক না।
-কিছুই করার নেই দোস্ত।তবে তোমরা বাঙালিরা আসলেই অনেক ভালো


গত কয়েকদিন ধরে টেলিভিশনে শুধু স্পাইডারম্যানের বক্তৃতাকে প্রচার করা হচ্ছে।আমি প্রায়ই সোহরাওয়ার্দীতে তাকে খুজতে যাই তবে সেখানে শুধু নেট ছাড়া আর কিছু নেই।বর্তমানে কোন বিপদের সময় স্পাইডারম্যানকে দেখা যায়না।তবে টিভিতে তিনি প্রতিনিয়তই বক্তৃতা দিচ্ছেন।নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিরেধীদলের আন্দোলন ততই তীব্র হচ্ছে।তবে টেলিভিশন ব্যতিত কোথাও দেখা নেই স্পাইডারম্যানের।স্পাইডারম্যানের এরুপ আচরণে জাতি অনেকটা ক্ষুদ্ধ।তবে তারা টেলিভিশন স্পাইডারম্যানের রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি।আশা করি খুব শীগ্রই তা জাতির সামনে উন্মোচিত হবে।

ইদানিং নির্বাচন উপলক্ষে জনপ্রতিনিধিরা টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন।আজ সন্ধ্যায় স্পইডারম্যানেরও জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেওয়ার কথা রয়েছে।আশাকরি আজ সন্ধ্যাতেই সকল রহস্যের দ্বার উন্মোচিত হবে.................




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Write a letter to your friends inviting him to your sister’s marriage ceremony

বাংলা বানানে ‘ই-কার‘ এবং ‘ঈ-কার’ এর নিয়ম

বাংলায় মধ্য-অ এর উচ্চারণ